নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে এক আইনজীবীর চেম্বার থেকে ১০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে লাপাত্তা রয়েছে ওই আইনজীবী আলম রশিদ লিখনসহ তার সহযোগী অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীরা। সূত্রে জানা যায়, আজ রবিবার দুপুর ১ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই আইনজীবীর চেম্বারে অভিযান চালায় নগর গোয়েন্দা শাখার একটি টিম। অভিযানের সময় ১০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হলেও কাউকে আটক করতে পারেনি এমনটিই জানিয়েছেন এস আই সুজিত গোমস্তা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত নগরীর প্রানকেন্দ্র ফজলুল হক এভিনিউ কোর্টের বিপরীত মার্কেটের তিন তলায় কথিত আইনজীবী আলম রশিদ লিখন ও বরিশাল সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা তোতা মিয়ার ছেলে মাসুম খান বুলেট মাদক বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। এদিকে স্থানীয়দের তথ্যমতে, অভিযানের সময় মাদক ব্যবসায়ী মাসুম খান বুলেট উপস্থিত থাকলেও তাকে আটক করা হয়নি। এতে স্থানীয় জনগনের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কিনা মাদকের মূল হোতা অথচ তাকে পেয়েও অদৃশ্য ক্ষমতায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কয়েকমাস আগেও বেনাপোলে মাদকের চালান আনতে গিয়ে আটক হয় বরিশাল মডেল স্কুলের শিক্ষক সুমন। সেই সময় কৌশলে পালিয়ে আসে এই কথিত আইনজীবী লিখন ও মাসুম খান বুলেট। এরপর কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর জামিনে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। সেই মামলার আসামি হয়েও বীরদর্পে বরিশাল নগরীতে মাদক বাণিজ্য চালিয়ে আসছে লিখন ও বুলেট। ক্ষমতাসীন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মাদকের বিশাল সিন্ডকেট পরিচালনা করে আসছে তারা। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফেন্সিডিল বেচাকেনা করা হতো ওই আইনজীবীর চেম্বারে। মাদক উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে নগর গোয়েন্দা শাখার এসি নরেশ কর্মকার বলেন, আমরা এক আইনজীবীর অফিসে অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করি তবে কাউকে আটক করতে পারিনি।
Leave a Reply